মেয়েরা কেন ছাড়বে

কখনও কখনও পুরুষ একটি মহিলাকে সম্মানের জন্য তার পাশে নিয়ে যায়। এবং হঠাৎ তিনি চলে যান, একাকীকরণের কঠিন, বেদনাদায়ক ঘন্টাগুলিতে, তিনি নিজেকে যন্ত্রণা দিয়েছিলেন, কীসের অভাব রয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করেছিলেন, কেন তিনি তাকে ছেড়ে চলে গেলেন এবং কীভাবে তাকে ফিরিয়ে আনবেন।

কোনও মহিলা যখন একটি রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা চুলার সাথে একটি নিখরচায় সংযুক্তি অনুভব করে তখন একমাত্র আকাঙ্ক্ষা দেখা দেয়: প্রমাণ করার জন্য যে সে তার প্রতিভা, বাসনা, চাহিদা এবং হারানো সুযোগগুলি সহ একজন ব্যক্তিও রয়েছে। সর্বোপরি, ধুয়ে রাখা থালা - বাসন, একটি পরিষ্কার অ্যাপার্টমেন্ট এবং একটি রান্না করা রাতের খাবার কোনও সহজ কাজ নয়, তবে এই আপাতদৃষ্টিতে প্রাথমিক বিষয়গুলির জন্যও পুরুষদের মতে তিনি কৃতজ্ঞতার সহজ শব্দ শুনতে পান না। এবং তারপরেই যুবক রোডিয়ান রাসক্লানিকভের মতো একটি দ্বিধা দেখা দেয়: "… আমি কাঁপতে কাঁপতে প্রাণি বা আমার অধিকার আছে …" যখন আত্মমর্যাদাবোধ তার অন্য অর্ধেকের প্রতি ভালবাসা ছড়িয়ে দেয়, তখন মেয়েটি চলে যায়, যার ফলে সে নিজেকে ছেড়ে দেয় দৈনন্দিন জীবনের বন্ড, চিরন্তন রান্না করা এবং পরিষ্কার - তিনি কেবল ক্লান্ত ক্লান্ত হয়ে এটি পরিবেশন করেন।

একজন মানুষ বর্ণহীন, বিরক্তিকর, নিস্তেজ, লোভী, লোভী ও উদ্বেগহীন হয়ে উঠলে অনিচ্ছাকৃতভাবে তার মাথায় চিন্তাভাবনা উপস্থিত হয়: “কেন আমি তার সাথে আছি? আমি কেন তার তান্ত্রিকতা, নিজের প্রতি অহঙ্কারী মনোভাব সহ্য করব, আমার জীবনের প্রতি অসম্মান করব? কোনও মানুষ যদি কিছু না হয়ে যায় তবে তার কোনও আকাঙ্ক্ষা ও আকাঙ্ক্ষা নেই, ততক্ষণে তাকে পরিত্যক্ত করা হয়। এবং সর্বোপরি, এই পরিস্থিতিতে কোনও মহিলাকে কোনও কিছুর জন্য দোষ দেওয়া যায় না - কেউ শাকসব্জী নিয়ে বাঁচতে চায় না।

ব্রেক আপ করার একটি ভাল কারণ হ'ল ছেলেটির অ্যালকোহল আসক্তি। অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের অবিচ্ছিন্ন ব্যবহার একজন ব্যক্তিকে রূপান্তরিত করে। এক ধরণের, সহানুভূতিশীল, মনোযোগী মানুষ থেকে তিনি আক্রমণাত্মক আদিম প্রাণীতে পরিণত হন। মেয়েটি তার অন্য অর্ধেকের জন্য লজ্জার বোধ অনুভব করে ধ্রুবক আতঙ্কে থাকে। এই সমস্ত হতাশা, উদাসীনতা এবং শেষ পর্যন্ত - একটি স্নায়বিক ভাঙ্গন বাড়ে। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্ররোচনা, অনুরোধ, হুমকি, কেলেঙ্কারী পরে তিনি তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, কারণ তার আর শক্তি নেই।

রাশিয়ায়, মহিলারা ঘরোয়া সহিংসতায় ভোগেন। মারধরের ফলে কী ঘটেছিল তা বিবেচ্য নয়, এটি অবশ্যই আবার ঘটবে। যে পুরুষ একবার মহিলার বিরুদ্ধে হাত তুলেছিল সে শক্তিহীন বোধ করবে এবং এটিকে আচরণের আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করবে। এইরকম পরিস্থিতিতে আসার একমাত্র সঠিক উপায় হতাশ এবং অর্থহীন সম্পর্ক ত্যাগ করা।

সম্ভবত আমাদের দেশের প্রতিটি দশম মহিলা তার প্রিয়তমের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে তার জীবনে কমপক্ষে একবার কাঁদলেন। যদি সংযোগটি নৈমিত্তিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত ছিল, তবে অনেক মহিলা তাদের পুরুষকে ক্ষমা করেন, এই ভেবে যে এটি কেবল যৌনতা, কোনও আবেগ এবং অনুভূতি ছাড়াই একটি ক্ষণিক দুর্বলতা। রাষ্ট্রদ্রোহের দিকে চোখ বন্ধ করে, মেয়েটি এর মধ্যে একরকমভাবে ছেলেটির বাম দিকে হাঁটার অনুমোদন দেয়। এই প্রথম এবং শেষ সময় ছিল তার নিশ্চয়তা সত্ত্বেও তারা স্থির এবং নিয়মিত হয়ে ওঠে। প্রতিবার, একটি নতুন বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে শিখলে, মহিলাদের আত্মমর্যাদা নীচ থেকে নীচে নেমে আসবে, এবং খুব সুন্দর কোনও মুহুর্তে সে যৌনহীন সত্তার মতো বোধ করবে, এমনকি তার প্রাক্তনের অর্ধেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও অক্ষম হবে। মিথ্যা, অবিরাম বিশ্বাসঘাতকতা এবং কেলেঙ্কারী দেখে ক্লান্ত হয়ে সে চলে যায়।